বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ভিসা আবেদন বাতিলের কারণ
বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ভিসা আবেদন বাতিলের কারণ
স্টুডেন্ট ভিসা বাতিলের কারণ

বিদেশে উচ্চশিক্ষাঃ ভিসা আবেদন বাতিলের কারণ সমূহ

সময় যত গড়াচ্ছে আমাদের দেশে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও তত বাড়ছে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় ভিসা এবং এখানেই আটকে যান অনেক শিক্ষার্থী। অধরাই রয়ে যায় তাদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। শতভাগ আগ্রহ ও চেষ্টা সত্ত্বেও কেন শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যায়, আজকের ব্লগে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হচ্ছে।

স্টুডেন্ট ভিসা কী?

শিক্ষার্থীরা যে ভিসা নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে এবং নির্বিঘ্নে পড়ালেখা করতে পারেন, সেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার কারণ

  • কৌতুহল দূরকরণ: উন্নত দেশগুলো এবং সেসব দেশের মানুষের জীবনযাপন কেমন হয়, এসব নিয়ে তরুণ প্রজন্মের অনেক কৌতুহল রয়েছে। কৌতুহল দূর করতেই অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়ে থাকেন।
  • দেশভ্রমণ: দেশভ্রমণ করার ইচ্ছা অনেক শিক্ষার্থীরই থাকে। এসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে নিজেদের দেশভ্রমণ করার ইচ্ছা পূরণ করেন।
  • বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে জ্ঞানার্জন: তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কোন প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের তা সহজেই খুঁজে বের করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মনে আগ্রহ তৈরি হয় এবং আগ্রহ বাস্তবায়নের জন্যই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান অনেক শিক্ষার্থী।
  • বিশ্বমানের শিক্ষকের কাছে শিক্ষালাভ: কেবল বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করলেই হয় না। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য বিশ্বমানের শিক্ষকদের সংস্পর্শও অনেক প্রয়োজন। এ চিন্তা থেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান অনেক শিক্ষার্থী।
  • আন্তর্জাতিক পরিবেশে নিজেকে গড়ে তোলা: বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব হয়। ফলে আন্তর্জাতিক এ পরিবেশে নিজেকে নতুভাবে আবিষ্কার করে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়।
  • উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ: উন্নত দেশে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করলে নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা যাবে; এমন আশা নিয়েই অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান।
  • রাজনৈতিক অস্থিরতা: বাংলাদেশের সরকারি কলেজ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধিকাংশ সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগেই থাকে। ফলে তৈরি হয় সেশনজট। সেশনজট ও রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান শিক্ষার্থীরা।

ভিসা আবেদন বাতিল হয় যেসব কারণে

একেক দেশের দূতাবাস একেক কারণে শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন বাতিল করে থাকে। কোনো দূতাবাস ভিসা বাতিলের কারণ জানিয়ে দেয় এবং কোনো দূতাবাস জানায় না। তবে কিছু সাধারণ সমস্যা আছে, যেগুলো শিক্ষার্থীদের শুধরে নেওয়া প্রয়োজন-

  • অর্থনৈতিক সক্ষমতা প্রমাণে ত্রুটি: বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে হলে অর্থনৈতিক সক্ষমতা দেখাতে হয়। দেশভেদে টাকার অংকটাও ভিন্ন হয়। একজন শিক্ষার্থীকে জানতে হবে, যে দেশে সে যেতে চায় সে দেশের দূতাবাসকে কী পরিমাণ টাকা দেখাতে হবে। যদি ঐ পরিমাণ টাকা সে সংগ্রহ করতে পারে, তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করবে। অন্যথায় আবেদন করলেও তার ভিসা বাতিল হয়ে যাবে।
  • ভাষাগত দক্ষতার অভাব: উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে হলে IELTS বা TOEFL পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট থাকতে হয়। জাপান জাপানি এবং চীন চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজের দক্ষতাও চেয়ে থাকে কখনো কখনো। ভাষাগত দক্ষতা ভালো না থাকলে ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট আশানুৃরূপ না হওয়া: একজন শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করতে আগ্রহী, সে প্রতিষ্ঠান কেমন রেজাল্ট প্রত্যাশা করে তা জেনে নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা অনুযায়ী অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট না হলে ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যায়।
  • প্রত্যাশিত কাগজপত্রের অভাব: যে দেশ ও প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করতে আগ্রহ রয়েছে, সে দেশ ও প্রতিষ্ঠান কী কী কাগজ প্রত্যাশা করে থাকে তা জানতে হবে শিক্ষার্থীকে। প্রত্যাশা অনুযায়ী কাগজপত্র দিতে না পারলে ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যায়।
  • অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র: অর্থনৈতিক সক্ষমতা আছে। রয়েছে চমৎকার অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট। কিন্তু অসম্পূর্ণ আবেনপত্র হওয়ার কারণে অনেকের ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যায়। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে যারা আগ্রহী, এ ব্যাপারে তাদের সচেতন থাকা প্রয়োজন।
  • অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকলে: ভিসা দেওয়ার আগে একজন শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত অনেক ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে থাকে দূতাবাসগুলো। খোঁজখবর নিয়ে তারা যদি শিক্ষার্থীকে কোনো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত পায়, তার ভিসার আবেদন বাতিল করে দেয়।
  • স্বাস্থ্যগত সমস্যা: বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে হলে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার সনদ দেখাতে হয়। যদি এ পরীক্ষায় এমন কোনো সমস্যা ধরা পড়ে যা সে দেশের জন্য সমস্যা, তাহলে ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যায়।
বাংলাদেশে স্টুডেন্ট কনসালটেন্সি সেবা

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট কনসালটেন্সি সেবা

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কনসালটেন্সি সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে রয়েছে গ্রহণযোগ্য অনেক কনসালটেন্সি ফার্ম। যারা শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য ও গাইডলাইন দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে। এসব কনসালটেন্সি ফার্মের পরামর্শ নিয়ে পথ চললে শিক্ষার্থীদের সফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। উল্লেখযোগ্য কনসালটেন্সি ফার্ম হলো Sangen Edu Ltd । এ ফার্মের সেবাগুলো হলো-

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়াইউরোপের বিভিন্ন দেশের জন্য এ সেবাগুলো দিয়ে থাকে Sangen Edu Ltd।

সারসংক্ষেপ

বিদেশে উচ্চশিক্ষার যে স্বপ্ন মনের ভেতরে পুষে রাখেন বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী, সে স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন। আজকের লেখা কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পা বাড়াতে সাহায্য করবে। ভিসা আবেদন বাতিলের পরিমাণ কমিয়ে আনবে।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন