উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের দেশ কানাডা
উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের দেশ কানাডা
কানাডায় উচ্চশিক্ষা

উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের দেশ কানাডা

যত দিন গড়াচ্ছে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীর হারও বাড়ছে। উচ্চশিক্ষার জন্য যেসব দেশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে, এর অন্যতম হল কানাডা।

কানাডায় কম খরচে পড়ালেখা করা যায়। শিক্ষাজীবন শেষে সহজেই পছন্দের পেশা খুঁজে পাওয়া যায়। দেশটিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশও হল কানাডা। এসব কারণেই উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের দেশ হল কানাডা।

কানাডায় উচ্চশিক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত:

আলবের্টা বিশ্ববিদ্যালয়

কানাডার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ

কানাডায় রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নিচে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম তুলে ধরা হল:

কম্পিউটার ও আইটি

পছন্দনীয় বিষয়ে পড়ালেখা করার সুযোগ

আয়তন, সামরিক ও অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাসহ সবদিক থেকেই কানাডা হল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ। এ দেশে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ালেখা ও গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে।

  • প্রকৌশল
  • কম্পিউটার ও আইটি
  • অর্থনীতি
  • অ্যাকাউন্টিং
  • বায়োলোজিক্যাল অ্যান্ড লাইফ সাইন্স
  • হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন
  • ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার
  • আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন
স্কলারশিপ সুবিধা

স্কলারশিপ সুবিধা

উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা পছন্দ হওয়ার অন্যতম কারণ হল স্কলারশিপ সুবিধা। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ। কোনো স্কলারশিপে কেবল টিউশন ফি-র খরচ বহন করা হয় এবং কোনো স্কলারশিপে থাকা-খাওয়াসহ সব ধরনের খরচ বহন করা হয়। নিচে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্কলারশিপ তুলে ধরা হল।

কানাডায় ভর্তির সেশন সমূহ

কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরের বিভিন্ন সময় ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় যেতে পারেন এবং পছন্দমত সেমিস্টারে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে সেমিস্টারগুলো রয়েছে-

ইনটেক ডিউরেশন
ফল ইনটেক সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর
উইন্টার ইনটেক জানুয়ারি থেকে এপ্রিল
সামার ইনটেক মে থেকে আগস্ট

টিউশন ফি

উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা শিক্ষার্থীদের পছন্দনীয় হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হল টিউশন ফি। এখানে স্বল্প টিউশন ফি দিয়ে বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ রয়েছে।

আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি হল-

  • মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বছরে ২৫ হাজার ১৮০ কানাডিয়ান ডলার।
  • প্রকৌশল ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য বছরে ২৮ হাজার ৬২৫ কানাডিয়ান ডলার।

পোস্টগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি হল-

  • এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য ৩ হাজার কানাডিয়ান ডলার।
  • অন্যান্য প্রোগ্রামের জন্য ১৬ হাজার কানাডিয়ান ডলার।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্তির ডকুমেন্টস

কানাডায় উচ্চশিক্ষায় আবেদনের জন্য বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন। নিচে প্রয়োজনীয় যোগ্যতাগুলো তুলে ধরা হল:

  • অফার লেটার
  • স্টাডি পারমিটের আবেদনপত্র
  • IELTS এর প্রয়োজনীয় স্কোর
  • স্কলারশিপের প্রমাণপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণপত্র
  • এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা সনদ
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ
  • ৬ মাস মেয়াদসম্পন্ন পাসপোর্ট

বসবাসের জন্য সেরা দেশ

বসবাসের জন্য উপযুক্ত বিশ্বের সেরা দেশগুলোর একটি হল কানাডা। আয়তনে বিশ্বের অন্যতম বড় কানাডায় প্রায় চারকোটি মানুষের বসবাস। এজন্য এ দেশে পড়ালেখা করতে এসে সহজেই বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়। নিচে কানাডার শহরগুলো তুলে ধরা হল-

  • টরেন্টো
  • কিউবেক সিটি
  • অটোয়া
  • ভ্যাঙ্কুভার
  • মন্ট্রিল
  • ক্যালগারি
  • এডমন্টন
  • হ্যালিফ্যাক্স

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়ালেখার করার ধাপসমূহ

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কিছু ধাপ পেরোতে হয়। নিচে সে ধাপগুলো উল্লেখ করা হল:

বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করা: কানাডায় পড়তে যাওয়ার জন্য প্রথমে অনলাইন বা অফলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজ করতে হয়। পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পাওয়া গেলে পরের ধাপে যেতে হবে।

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা মিলিয়ে দেখা: বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিটেইলসে গিয়ে দেখতে হবে কী কী যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আইএলটিএস, অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও অন্যান্য যোগ্যতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন: প্রয়োজনীয় যোগ্যতা মিলে গেলে আবেদন করার নিয়ম দেখতে হবে। যেভাবে আবেদন করার নিয়ম উল্লেখ থাকবে হুবহু সেভাবে আবেদন করতে হবে।

স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন: অনলাইনে স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়। এ আবেদন করার সময় অর্থনৈতিক সক্ষমতা, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার কাগজসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিতে হবে।

কানাডায় গমন: আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে এবং ভিসা পেলে কানাডায় গমন করার সুযোগ মিলবে। কানাডায় যাওয়ার পর সেখানে স্টাডি পারমিট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের হার্ডকপি দেখাতে হবে। তাই এসব ডকুমেন্টস সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে।

সারসংক্ষেপ

সানজেন এডু লিঃ বাংলাদেশের গ্রহনযোগ্য একটি এডুকেশন কনসালটেন্সি ফার্ম। বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী কানাডায় পড়ালেখা করতে যান, তাদেরকে সেরা সার্ভিস দিয়ে থাকে এ ফার্ম। আপনি যদি কানাডায় যেতে আগ্রহী হন তাহলে নিশ্চিন্তে যোগাযোগ করতে পারেন এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।